Skip to content

Instantly share code, notes, and snippets.

@akoul889
Last active September 16, 2020 07:54
Show Gist options
  • Save akoul889/9d1d8b47d4d5a98c915333d840ceb6a0 to your computer and use it in GitHub Desktop.
Save akoul889/9d1d8b47d4d5a98c915333d840ceb6a0 to your computer and use it in GitHub Desktop.
vikatn print
<rss xmlns:atom="http://www.w3.org/2005/Atom" xmlns:content="http://purl.org/rss/1.0/modules/content/" xmlns:media="http://search.yahoo.com/mrss/" xmlns:sy="http://purl.org/rss/1.0/modules/syndication/" version="2.0">
<channel>
<title>Prothom Alo Stories</title>
<link>https://www.prothomalo.com</link>
<description>Prothom Alo Stories.</description>
<atom:link href="http://rss.palobd.com/rss/rss" rel="self" type="application/rss+xml"/>
<language>en-US</language>
<lastBuildDate>Thu, 10 Sep 2020 18:21:43 +0600</lastBuildDate>
<sy:updatePeriod>hourly</sy:updatePeriod>
<sy:updateFrequency>1</sy:updateFrequency>
<item>
<title><![CDATA[[শিশু অপহরণে গ্রেপ্তার ২ নারী দুই দিন করে রিমান্ডে]]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-2-DH0143-807703255]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 18:17:33 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T18:17:33.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Nazrul Islam</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>গ্রেপ্তার দু্ই নারী, দুদিন করে রিমান্ডে</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>শিশু অপহরণে গ্রেপ্তার ২ নারী দুই দিন করে রিমান্ডে</br> ওকে: আলামিন</br> নজরুল ইসলাম</br> ওকে.পার্থ</br> ছবি: অপহরণের লোগো</br> ট্যাগ: অপরাধ</br> মেটা: অপহৃত শিশুকে উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই নারীকে আজ বৃহস্পতিবার দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।</br> শিশু অপহরণে গ্রেপ্তার ২ নারী দুই দিন করে রিমান্ডে</br> নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা</br> অপহৃত শিশুকে উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই নারীকে আজ বৃহস্পতিবার দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। ওই দুই নারী হলেন রাশেদা খাতুন ওরফে শাহেরা ও ফাতেমা বেগম।</br> ৫ সেপ্টেম্বর মিরপুর–১ নম্বর–সংলগ্ন শাহ আলী মাজার এলাকায় খেলা করার সময় তিন বছরের শিশু শাহাদতকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন শিশুটির মা মেরি বেগম শাহ আলী থানায় অপহরণের মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবির মিরপুর বিভাগ। তদন্তের পরে ডিবি পুলিশ সাভারের বেদেপল্লিসংলগ্ন ছায়াবিথি এলাকার একটি বাসা থেকে তিন বছরের শিশু শাহাদতকে উদ্ধার করে। ডিবি এ সময় রাশেদা ও ফাতেমাকে গ্রেপ্তার করে।</br> অভিযান পরিচালনাকারী ডিবির অতিরিক্ত উপকমিশনার আশরাফুল করিম আজ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার রাশেদা ও ফাতেমা বেগমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আজ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত তাঁদের প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।</br> আশরাফুল করিম বলেন, শিশুটির মা গৃহকর্মী ও বাবা বাসচালকের সহকারী হিসেবে কাজ করেন। তাঁরা কাজে বাইরে গেলে শিশু শাহাদত ও আরেক বোনকে নিয়ে তাদের বড় ভাই শাহ আলী মাজারে খেলতে যায়। কাজ শেষে ওদের মা শাহ আলী মাজারে এসে জানতে পারেন, দুই নারীসহ তিনজন শিশু শাহাদতকে অপহরণ করে নিয়ে গেছেন।</br> ডিবির ওই কর্মকর্তা জানান, তাঁরা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ((সিসি) ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপহরণকারী ও অপহৃত শিশুর অবস্থান জানতে পারেন। অপহরণে জড়িত শাহিন পালিয়ে গেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা বলেন, অপহরণকারী চক্রের হোতা রাশেদা শাহাদতকে অপহরণের জন্য তাঁর দুই সহযোগী ফাতেমা ও শাহীনকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। রাশেদা শিশু শাহাদতকে বিক্রির পরিকল্পনা করছিলেন। গত বছরের ১৯ এপ্রিল রাশেদা শাহ আলী মাজারের একই স্থান থেকে আরেকটি শিশু অপহরণ করেন। ওই ঘটনায় তিনি কারাগারে ছিলেন। সেখানে কিছুদিন থাকার পর তিনি জামিনে বেরিয়ে আবার অপহরণে যুক্ত হন। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[মামলা করলেও <অনেকে ভয়ে আপস করে ফেলেন>]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-1-DH0121-807787]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 18:09:50 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T18:09:50.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Sk. Tanvir Mahmud</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>সকজচবন,সকজ</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>মামলা করলেও অনেকে ভয়ে আপস করে ফেলেন</br> ছবি ন্যাশনালে আছে হেফাজতে নির্যাতন নামে</br> ট্যাগ: বাংলাদেশ, পুলিশ, অপরাধ, আইন ও বিচার</br> মেটা: ২০১৭ সালের ৮ জুলাই নরসিংদীর মধ্যকান্দাপাড়ায় খুন হন এক নারী। পরিবারের ভাষ্যমতে, খুনের ঘটনাটি ঘটে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে। ওই নারীর একমাত্র ছেলে তখন স্কুলে এসএসসির প্রাক্‌-নির্বাচনী পরীক্ষা দিচ্ছিল। সে বাড়ি ফিরে দেখে রক্তে ভেসে যাচ্ছে সব। মা আর নেই। এক দিন-দুই দিন করে তিন সপ্তাহ পার হয়ে যায়। হত্যা রহস্যের কিনারা করতে পারে না পুলিশ। নিহত নারীর স্বামী, মেয়ে ও জামাতাকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর ডাক পড়ে তাঁর একমাত্র ছেলেটির (ছেলেটি অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে তার ও তার মা-বাবার নাম প্রকাশ করা হলো না)।</br> সাবহেড: পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন</br> হেডিং: মামলা করলেও অনেকে ভয়ে আপস করে ফেলেন</br> ভেতরে হাইলাইটস: ৭ বছরে ১৮ মামলা, ১৪টিতেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন</br> শেখ সাবিহা আলম, ঢাকা</br> ২০১৭ সালের ৮ জুলাই নরসিংদীর মধ্যকান্দাপাড়ায় খুন হন এক নারী। পরিবারের ভাষ্যমতে, খুনের ঘটনাটি ঘটে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে বেলা দেড়টার মধ্যে। ওই নারীর একমাত্র ছেলে তখন স্কুলে এসএসসির প্রাক্‌–নির্বাচনী পরীক্ষা দিচ্ছিল। সে বাড়ি ফিরে দেখে রক্তে ভেসে যাচ্ছে সব। মা আর নেই।</br> এক দিন–দুই দিন করে তিন সপ্তাহ পার হয়ে যায়। হত্যা রহস্যের কিনারা করতে পারে না পুলিশ। নিহত নারীর স্বামী, মেয়ে ও জামাতাকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর ডাক পড়ে তাঁর একমাত্র ছেলেটির (ছেলেটি অপ্রাপ্তবয়স্ক বলে তার ও তার মা–বাবার নাম প্রকাশ করা হলো না)।</br> ছেলেটিকে চার দিন থানায় আটকে রাখার পর পুলিশ জানায়, দশম শ্রেণির ওই ছেলেটিই গলা কেটে খুন করেছে মাকে। নরসিংদীর শিশু আদালতে এখন এই হত্যা মামলার বিচার চলছে। আর ছেলেটি জামিনে রয়েছে।</br> ওই ছেলের ভগ্নিপতি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে একদিন ভোরে ডিবি অফিসে ডাকল। বলল, আমার শ্যালক সব স্বীকার করেছে, সব বলবে। কিন্তু আমি যেন ওর মুখের দিকে না তাকাই। আড়চোখে দেখলাম ওর হাত–পায়ে জখম। ছেলেটাকে তারা বেদম মেরেছে।’</br> ছেলেটিকে থানায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে তার বাবা আদালতে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মামলা করেন। স্বীকারোক্তি আদায়ে ছেলের ওপর নির্যাতন হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর আইনজীবী আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওর শরীরে যে আঘাতের চিহ্ন, তা সাত-আট দিনের পুরোনো বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকেরা। যে সময়ের কথা বলা হয়েছে, সে সময় সে পুলিশি হেফাজতে ছিল।</br> ছেলেটিকে থানায় আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নামে নির্যাতনের অভিযোগ ছিল থানার উপপরিদর্শক মোশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে। গতকাল এ বিষয়ে বক্তব্য চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘তারা মিথ্যা কথা বলছে।’</br> ছেলেটির বিরুদ্ধে মামলার বিচার চললেও তাকে নির্যাতনের মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। তদন্তে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি উল্লেখ করে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। এই প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করলে মামলাটির মৃত্যু হবে। তবে ছেলেটির বাবা পুলিশের এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন বলে জানিয়েছেন। পুলিশ সদর দপ্তরের রেকর্ডে নরসিংদীর এই মামলার পাশে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ‘তথ্যগত ভুল’।</br> দুটি মামলার বিচার চলছে</br> নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন কার্যকর হয়েছে ২০১৩ সালে। পুলিশ সদর দপ্তরের হিসাবে, ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই আইনে মামলা হয়েছে ১৮টি। এর ১৪টিতেই পুলিশ ‘তথ্যগত ভুল’ বলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। তথ্যগত ভুল বলতে বাদীর দেওয়া তথ্যে গরমিল বোঝানো হয়েছে।</br> বাকি চারটি মামলার মধ্যে বুধবার একটির রায় হয়েছে। দুটি মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে। অপর মামলায় বাদীকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।</br> মামলাগুলোর মধ্যে একটির বাদী ছাতক পৌরসভার মেয়র কামাল আহমেদ চৌধুরীর ভাই শামীম আহমেদ চৌধুরী। সিলেট নগরে ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে ২০১৪ সালে কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৌর মেয়রকে বেদম পেটান বলে অভিযোগ করা হয়। এই মামলার বিচার চলছে।</br> ২০১৬ সালে মেহেরপুরে কারাগারে থাকা মাদক মামলার আসামি জামিলুর নিহত হওয়ার ঘটনায় জেলারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গত বছর অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। এই মামলার বিচার চলছে।</br> ঢাকার একটি মামলার বাদীকে আদালত ডেকে পাঠিয়েছেন। বাদী মমতাজ সুলতানার (লুসি) অভিযোগ, ২০১৫ সালের ১৩ জুলাই তাঁর স্বামী মাহবুবুর রহমানকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেন এসআই জাহিদ ও তাঁর সহযোগীরা। কিন্তু অল্প কিছুদিন পর মমতাজ আদালতকে জানান, তিনি কিছু মনে করতে পারছেন না। এসআই জাহিদকে তিনি কখনো দেখেননি। মমতাজের স্বামী ছিলেন মিরপুরের ঝুট ব্যবসায়ী।</br> ১৯৯৮ সালে ডিবি হেফাজতে শামীম রেজা রুবেল নামে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র খুন হওয়ার প্রেক্ষাপটে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন প্রণয়নের দাবি ওঠে। মানবাধিকারকর্মী নূর খান মনে করেন, যে প্রত্যাশা থেকে এই আইন হলো সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, স্বজন হারানোর পরও মানুষ মুখে বালিশচাপা দিয়ে বসে থাকে। কারণ, আইন শুধু থাকলেই হবে না, আইনের প্রয়োগ হতে হবে। জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা না থাকায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে এবং বিচার হচ্ছে না।</br> কেন আইন, কী ঘটছে</br> নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে বলা হয়েছে, নির্যাতন ও অন্যান্য নিষ্ঠুর অমানবিক অথবা অমর্যাদাকর আচরণ অথবা শাস্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ সনদের কার্যকারিতা দিতে এই আইন। ১৯৮৪ সালের ১০ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে নির্যাতন এবং অন্যান্য নিষ্ঠুর, অমানবিক ও লাঞ্ছনাকর অথবা দণ্ডবিরোধী যে সনদ স্বাক্ষরিত হয়, বাংলাদেশ তার অংশীদার।</br> এ আইনে হেফাজতে নির্যাতন বলতে যেকোনো ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনকে বোঝানো হয়েছে। আর হেফাজতে মৃত্যু বলতে বোঝানো হয়েছে, সরকারি কোনো কর্মকর্তার হেফাজতে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু। অবৈধ আটকাদেশ বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার গ্রেপ্তারের সময়ে ঘটা মৃত্যুও এ আইনের আওতায় পড়বে। এমনকি কোনো মামলায় সাক্ষী হোক বা না হোক, জিজ্ঞাসাবাদের সময় মৃত্যুও হেফাজতে মৃত্যু বলে গণ্য হবে।</br> বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যারা পর্যবেক্ষণ করছেন, তাঁরা বলছেন, আইনে ভালো ভালো কথা লেখা হলেও পরিস্থিতি এখনো ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের পক্ষে নেই। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) গত বছরের ২৯ জুলাই ‌‌‘ইউএন রেকমেন্ডেশন অন টর্চার’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে তারা ঠিক কীভাবে হেফাজতে নির্যাতন করা হয়, তার বেশ কিছু উদাহরণ দেয়, যেমন লোহার রড, বেল্ট ও লাঠি দিয়ে পেটানো, বৈদ্যুতিক শক দেওয়া, ছাদ থেকে ঝুলিয়ে রাখা, ওয়াটার বোর্ডিং (ডুবে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হয় এই শাস্তিতে) এবং ইচ্ছে হলেই ‌আত্মরক্ষার কথা বলে পায়ের নিচে গুলি করে দেওয়া ও ‌ক্রসফায়ার।</br> সম্প্রতি টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। ওই ভিডিওতে র‌্যাব হেফাজতে তাঁদের বৈদ্যুতিক শক দেওয়া ও প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।</br> তবে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক মো. সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশি হেফাজতে যে কারণেই মৃত্যু ঘটুক না কেন, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কোনো গাফিলতি, বিচ্যুতি বা অপরাধ তদ‌ন্তে প্রমাণিত হলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।</br> চূড়ান্ত প্রতিবেদন যেভাবে</br> কোনো কোনো মামলার ক্ষেত্রে বাদীপক্ষ আপস করছে বা করতে বাধ্য হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আবার কোনো কোনো মামলার কী অবস্থা, সে সম্পর্কে বাদী জানেন না। এমন কয়েকটি ঘটনা খতিয়ে দেখেছে প্রথম আলো।</br> নোয়াখালীতে এ আইনে তিনটি মামলা দায়েরের খবর পাওয়া যায়। সাবেক ছাত্রদল নেতা নজরুল ইসলামের বাবা আবুল কাশেম সোনাইমুড়ী থানার তৎকালীন ওসি আশরাফুল আলমসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, ২০১৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বন্দর থানা–পুলিশের সহায়তায় সোনাইমুড়ী থানার পুলিশ নজরুলকে গ্রেপ্তার করে। তারা যুবলীগ নেতা আরিফ হোসেনকে হত্যার দায় স্বীকারে জবরদস্তি করে। অস্বীকৃতি জানালে তাঁর পায়ে গুলি করে নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সামনে ফেলে যায়। পরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) আনা হলে তাঁর পা কেটে ফেলতে হয়।</br> এই মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী সেলিম শাহী প্রথম আলোকে বলেন, মামলার বাদীর বিরুদ্ধে পরে একাধিক মামলা হওয়ায় তিনি খুব সম্ভবত দেশ ছেড়ে গেছেন। সাবেক ছাত্রদল নেতা নজরুলও আর খোঁজখবর করেন না খুব একটা। তিনি এলাকায় থাকেনও না।</br> অপর দুটি মামলার একটির বাদী কবি মোস্তফা ইকবাল। তাঁর অভিযোগ ছিল, ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর ছেলে নোয়াখালী জিলা স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রহমান ইকবাল ওরফে ইকুকে (১৬) থানায় ধরে নিয়ে নির্যাতন করেন কনস্টেবল জয় চাকমা ও আনসার লিয়াকত আলী। ছেলেকে থানায় ধরে নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় তিনি মামলা করার পর পুলিশ ও আনসার সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে তাঁরা দুজনই তাঁর কাছে এসেছিলেন। অনেক অনুনয়-বিনয় করায় তিনি তাঁদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। পুলিশ পরে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। তিনি আর এ বিষয়ে আদালতে নারাজি দেননি।</br> একই বছরের ৭ অক্টোবর পুলিশের হেফাজতে নির্যাতনের বিরুদ্ধে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ছায়েদুল হকের দায়ের করা মামলার দুই আসামি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুদ্দিন ও এসআই সুমন বড়ুয়াসহ অজ্ঞাতনামা তিন–চারজন আসামিও অব্যাহতি পেয়েছেন।</br> চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থানায় ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই রিমান্ডে থাকা আসামি মাহফুজ রহমানের মৃত্যুর পর আদালতে মামলা হয়। ওই মামলার আইনজীবী আকরামুল ইসলাম জানান, তাঁর মক্কেল বছরখানেক মামলা চালানোর পর আপস করে ফেলেন। পুলিশ পরে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে দেয়।</br> আইন ও সালিশ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ উপপরিচালক নীনা গোস্বামী প্রথম আলোকে বলেন, এই আইনে মামলা করতে পারাটাই অনেকের জন্য দুরূহ ব্যাপার। সাহায্য, সহযোগিতা নিয়ে ভু্ক্তভোগী পরিবার মামলা করতে পারলেও পরে তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভয়ে ভুক্তভোগী পরিবার আপস করে ফেলে।</br> উদাহরণ হিসেবে নীনা গোস্বামী চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর মডেল থানায় রিমান্ডে থাকা আসামি আফসার আলীর প্রসঙ্গ তোলেন। মাস দুয়েক আগে আফসার আলীর মৃত্যুর পর পুলিশ কর্মকর্তারা আলাদা আলাদা বক্তব্য দেন। তিনি বাথরুমে ঢুকে গলায় তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, এমন কথা বলেছেন এক কর্মকর্তা। অপরজন বলেছেন, তাঁর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালের রেকর্ডে আছে, আফসারকে হাসপাতালে আনা হলে তিনি বুকে ব্যথার কথা বলেন। তা থেকেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাঁরা মামলার সব প্রস্তুতি নিলেও আফসারের পরিবার সাহস করতে পারেনি।</br> গত বছরের ডিসেম্বরে উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহাসহ চারজনের বিরুদ্ধে আলো বেগমের করা মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। আলোর অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামী আলমগীর হোসেন বায়িং হাউসের গাড়িচালকের কাজের পাশাপাশি ভ্যানে গার্মেন্টসের জিনিসপত্র বিক্রি করতেন। ১৬ ডিসেম্বর পুলিশ সদস্য অতর্কিতে আলমগীরের প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তোর পকেটে ইয়াবা আছে।’ থানায় বেধড়ক মারপিটের পর তাঁকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানোর এক দিন পরই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফিরে আসতে হয় আলমগীরকে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পরপরই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।</br> আলমগীরের স্বজন মো. সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, সন্তানদের নিয়ে আলো বেগম গাইবান্ধার গ্রামের বাড়িতে চলে গেছেন। সেখানেও পুলিশ মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। মামলায় পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদনও দিয়ে দিয়েছে। তবে আলো বেগম নারাজি আবেদন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।</br> ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই পিরোজপুরের সুবিদপুর গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী মো. শাহজালাল খুলনায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ তাঁর দুই চোখ তুলে নিয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করেন শাহজালালের বাবা মো. জাকির হোসেন। নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে তিনি পুলিশের একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ওই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। তবে তাঁরা এই মামলা চালিয়ে যাবেন।</br> সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক ও সরকারদলীয় সাংসদ নূর মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের কাজই হলো সুষ্ঠুভাবে মামলা তদন্ত করা। এ ক্ষেত্রে মামলার আসামি কে, সেটা দেখার কোনো বিষয় নয়। এটা ঠিক, মামলার তদন্ত ঠিকমতো না হলে বিচারও সঠিক পাওয়া যাবে না। তবে কেউ ইচ্ছাকৃত তদন্ত ভিন্ন খাতে নিলে সে ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুযোগ আছে।</br> (প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী) </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[চাকরি]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-2-DH0295-807721332]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 18:03:26 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T18:03:26.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Md. Rashedul Alam Rasel</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>চাকরি, বান্দরবান,</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>চাকরি</br> ওকে: আলামিন</br> ট্যাগ: চাকরি, খবর,</br> ছবি: ন্যাশনালে ১</br> হাইপার লিংক</br> http://bhdc.gov.bd/sites/default/files/files/bhdc.portal.gov.bd/notices/0c51793d_4168_4375_b108_a859711d74fd/2020-09-10-07-53-d54767403a0a8db3857d1770b64a28c9.pdf</br> বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে লোকবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ</br> অনলাইন ডেস্ক</br> বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্প্রতি ১৪ পদে মোট ৫০ জনকে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে পদগুলোতে যোগ্যতা পূরণ সাপেক্ষে যোগ দিতে পারেন যেকোনো ব্যক্তি। পদগুলোর জন্য আবেদন শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। আবেদন করা যাবে এ মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত।</br> আবেদনের যোগ্যতা</br> প্রতিটি পদে আবেদনের জন্য যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও বয়সসীমা আলাদা আলাদা। পদভেদে আবেদনের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও বয়সসীমার শর্তাবলি জানা যাবে বিজ্ঞপ্তিতে।</br> আবেদনের বয়স</br> প্রার্থীর বয়স ২৭ সেপ্টেম্বরে ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা/ শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বয়স ৩২ বছর। বয়স প্রমাণের ক্ষেত্রে অ্যাফিডেভিট গ্রহণযোগ্য হবে না।</br> আবেদনের নিয়ম</br> আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদনপত্র পূরণ করে ২৭ সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আবেদন জমা দিতে পারবেন। www.bhdc.gov.bd তে প্রবেশ করে অভ্যন্তরীণ ই-সেবায় ‘অনলাইন চাকরি আবেদন’ অপশনে অথবা www.bhdc.eservicebd.com এ প্রবেশ করে Online–এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[এসপিকে আসামি করতে সিনহার বোনের আবেদন খারিজ]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-2-DH0146-807763417]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 17:55:16 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T17:55:16.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Sk. Tanvir Mahmud</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>মকজস,দগতহজক</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>এসপিকে আসামি করতে সিনহার বোনের আবেদন খারিজ</br> ট্যাগ: বাংলাদেশ, কক্সবাজার, আইন ও বিচার, হত্যা</br> মেটা: অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান &nbsp;হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেনকে অন্তর্ভুক্তির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এই আবেদন খারিজ করে দেন।</br> এসপিকে আসামি করতে সিনহার বোনের আবেদন খারিজ</br> নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার</br> অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান &nbsp;হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) এ বি এম মাসুদ হোসেনকে অন্তর্ভুক্তির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ এই আবেদন খারিজ করে দেন।</br> এর আগে দুপুরে আদালতে এসপি মাসুদ হোসেনকে আসামি করার এই আবেদন করেন সিনহার বড়বোন ও সিনহা হত্যা মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। পরে বিকেলে আদেশ দেন।</br> আদালতের সরকারি কৌঁসুলি ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, বিচারক বাদীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আদেশে বিচারক বলেন, তদন্তকালীন সময়ে কেউ যদি মামলায় প্রভাব বিস্তার করতে চান তাহলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ক্ষমতা তদন্তকারীর আছে।</br> দুপুরে বাদী পক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা সাংবাদিকদের বলেন, ৫ আগস্ট সিনহা হত্যার ঘটনায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে হত্যা মামলা করেছিলাম। এখন সেই মামলায় জেলার এসপি এ বি এম মাসুদ হোসেনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য ফৌজদারি আবেদন করা হয়েছে।</br> এতদিন পর সিনহা হত্যা মামলায় এসপিকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্তির কারণ কি ? জানতে চাইলে আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, আমরা এতদিন যাচাই বাছাই করেছি, এরপর তাঁর (এসপি) ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলেই মামলায় আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদন করা হয়েছে।</br> আবেদন দাখিলের সময় মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এসপি মাসুদ হোসেন শুরু থেকেই সিনহা হত্যা মামলার আসামিদের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। উনি (এসপি) ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাই তাঁকে ( এসপি) আসামি করার আবেদন জানানো হয়েছে। &nbsp;</br> গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।</br> এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষে টেকনাফ মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় সিনহাকে আসামি করা হয়। পরে সিনহার বোনের করা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতসহ ৯ পুলিশকে আসামি করা হয়। এরপর ওসি প্রদীপসহ ৭ পুলিশ আদালতে আত্মসম্পর্ন করেন। একজন এসআই ও একজন কনস্টেবল পলাতক রয়েছেন।</br> পরে ওসি প্রদীপসহ পুলিশের সাত সদস্যকে সিনহার বোনের করা মামলায় গ্রেপ্তার (আসামি) দেখানো হয়। বর্তমানে সিনহা হত্যা মামলায় মোট আসামি ১৩ জন। পুলিশের সাত সদস্য ছাড়াও এপিবিএনের তিন সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আবদুল্লাহ এবং মারিশবুনিয়া গ্রামের তিন ব্যক্তি নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আইয়াসকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। &nbsp;</br> ঘটনার সময় ( ৩১ জুলাই রাতে) এপিবিএনের তিন সদস্য শামলাপুর তল্লাশিচৌকির দায়িত্বে ছিলেন। আর মারিশবুনিয়ার তিন ব্যক্তি টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী ছিলেন।</br> ১৩ আসামির সবাই এখন জেলা কারাগারে অবস্থান করছেন। এরমধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ছাড়া অন্য ১২ আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[২২২ থেকে কমতে কমতে সপ্তাহে ৫ জনের মৃত্যু করোনার উপসর্গে]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-2-DH1218-807774807]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 17:54:47 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T17:54:47.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Md. Mohiuddin Online</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>করোনা,উপসর্গ</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>২২২ থেকে কমতে কমতে সপ্তাহে ৫ জনের মৃত্যু করোনার উপসর্গে</br> ২২২ থেকে কমতে কমতে সপ্তাহে ৫ জনের মৃত্যু করোনার উপসর্গে</br> নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা</br> দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের লক্ষণ বা উপসর্গ নিয়ে ২ হাজার ১৮০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। এক সময় সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২২ জনের এমন মৃত্যু হয়েছে। প্রায় তিন মাস ধরে এমন মৃত্যুর সংখ্যা কমছে। সর্বশেষ সপ্তাহে এমন মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এর আগের সপ্তাহে এটি ছিল ১৬ জন।</br> ৩০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও)। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) একটি প্রকল্প। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির আর্থিক সহায়তায় কয়েকটি বিষয় নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে বিপিও। করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন দিচ্ছে তারা।</br> গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, করোনার উপসর্গে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এ বিভাগে মারা গেছেন ৭২৮ জন। ঢাকা বিভাগে ৩৯৩ জনের এমন মৃত্যু হয়েছে। খুলনা বিভাগে ৩৪২ জন, রাজশাহী বিভাগে ২১৮ জন, বরিশালে ২৪৩ জন, সিলেটে ১০১ জন, রংপুর ৯৫ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ৬০ জন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে।</br> করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের ২৫টি গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে আজ বৃহস্পতিবার নতুন প্রতিবেদন দিয়েছে বিপিও। বিপিও বলছে, ৮ মার্চ থেকে করোনার বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রকাশিত তথ্য সংগ্রহ করে প্রতি সপ্তাহে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। এতে দেখা যায়, ২২ থেকে ২৮ মার্চের সপ্তাহে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরের সপ্তাহে এটি বেড়ে দাঁড়ায় ৬৩ জনে। এরপর এটি বাড়তে থাকে। এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২২২ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২১ থেকে ২৭ জুন।</br> বিপিও গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা নিয়মিতভাবে তথ্য যাচাই-বাছাই করে সংশোধন করছেন। ফলে প্রকাশিত পুরোনো তথ্যও মাঝে মধ্যে পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর আগে মে মাসের শেষ প্রতিবেদনে বড় আকারের সংশোধন করা হয়। তখন উপসর্গে মোট মৃত্যুর সংখ্যা আগের চেয়ে কমানো হয়। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সংশোধনের পর প্রতি সপ্তাহে এটি কিছুটা বাড়ছে।</br> গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, করোনা রোগীর মতো উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেও তাঁরা করোনায় সংক্রমিত নাও হতে পারেন। একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসব ক্ষেত্রে পরীক্ষা করে ৮৫ শতাংশের করোনা পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণা প্রতিবেদনে।</br> গবেষকেরা বলছেন, জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন মিলে ২৫টি গণমাধ্যম থেকে প্রতিদিন তথ্য নিচ্ছে বিপিও। এরপর এসব তথ্য থেকে মোটামুটি গ্রহণযোগ্যটা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে মাঠপর্যায় থেকে এসব তথ্য যাচাই করা হয় না।</br> স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে করোনায় মৃত্যুর হিসাব দেওয়া হয় প্রতিদিন। তবে করোনার উপসর্গ বা সন্দেহজনক মৃত্যুর কোনো সরকারি তথ্য দেওয়া হয় না।</br> করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আরও কয়েকটি বিষয়ে তথ্য তুলে ধরেছে বিপিও। তাদের প্রতিবেদন বলছে, করোনা নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮৬টি ঘটনায় ৮৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা। এ ছাড়া ত্রাণ আত্মসাৎ, খাদ্যে ভেজাল ও করোনা বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনের মতো অনিয়ম ও অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জরিমানা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৩১৫ জনকে।</br> বিপিও প্রকাশিত প্রতিবেদন বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনাকে কেন্দ্র করে ২৪৪টি নির্যাতন ও সামাজিক কলঙ্ক দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ২৮৬টি বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে ১৯ শতাংশ ত্রাণসামগ্রী ও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তার দাবিতে, বেতন ও বোনাস পরিশোধের দাবিতে ৩৪ শতাংশ এবং ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে ৪ শতাংশ। এ ছাড়া স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনা ও যথাযথ চিকিৎসাসামগ্রীর দাবিতে হয়েছে ১৩ শতাংশ বিক্ষোভ। করোনা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ১৫০টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সারা দেশে। এতে ২৪ জন মারা গেছেন এবং ৬০৬ জন আহত হয়েছেন। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[নিজেদের পঙ্গু করতে উঠেপড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন: ফখরুল]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-2-DH0119-807700166]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 17:54:41 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T17:54:41.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Selim Zahid</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>িবএনিপ, ফখরুল</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>নিজেদের পঙ্গু করতে উঠেপড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন: ফখরুল</br> ওকে: আলামিন</br> সেলিম জাহিদ</br> ওকে.পার্থ</br> ছবি: ফখরুলের ফাইল ছবি</br> ট্যাগ: রাজনীতি/বিএনপি/সারা দেশ</br> মেটা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী আইন সংশোধনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনকে স্থায়ীভাবে পঙ্গু করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।</br> নিজেদের পঙ্গু করতে উঠেপড়ে লেগেছে নির্বাচন কমিশন: ফখরুল</br> নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা</br> বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন (ইসি) নির্বাচনী আইন সংশোধনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান হিসেবে কমিশনকে স্থায়ীভাবে পঙ্গু করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। তারা ভবিষ্যতে একটি ভালো নির্বাচন কমিশন পাওয়ার পথ রুদ্ধ করতে চায়।</br> আজ বৃহস্পতিবার সকালে দলের চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। কমিশনের প্রস্তাবিত নির্বাচনী আইন সংশোধন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।</br> মির্জা ফখরুল বলেন, রকিব উদ্দিন কমিশন থেকে শুরু করে গত ১০ বছরে কমিশন নির্বাচনব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস ও অকার্যকর করে দিয়েছে। তারা ২০১৪ সালে রাজনৈতিক দলবিহীন নির্বাচন করেছে, ২০১৮ সালে করেছে ভোটারবিহীন ‘নৈশ’ নির্বাচন। প্রস্তাবিত আরপিওর মাধ্যমে ভবিষ্যতে করবে নির্বাচন কমিশনবিহীন প্রহসনের নির্বাচন।</br> অবশ্য সব মহল থেকে সমালোচনা শুরু হলে নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) নাম পরিবর্তন এবং প্রার্থিতা বাতিলে ইসির ক্ষমতা বাদ দেওয়ার প্রস্তাবনা থেকে পিছু হটেছে।</br> বিষয়টির উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, তারপরও উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। কারণ, এই কমিশনের কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। তারা কী কারসাজিতে যুক্ত, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তাদের অতীত কর্মকাণ্ডে এটি স্পষ্ট যে নির্বাচন কমিশন সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নেই তৎ​পর রয়েছে।</br> মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়েছে। এই সময়কালে এই নির্বাচন কমিশন একটিও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে পারেনি। এ অবস্থায় তারা নির্বাচনী আইন সংশোধনের নামে বিধ্বস্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও দুর্বল করার অপপ্রয়াস করছে। এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।</br> মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন আইন-২০২০ প্রণয়ন, নির্বাচনী আইন সংশোধনী প্রস্তাব এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনী আইন-২০২০ প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এ উদ্যোগ অস্বাভাবিক, অনভিপ্রেত, অগ্রহণযোগ্য এবং মহল বিশেষের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের অপকৌশল বলে মনে করি। বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কমিশনের এ উদ্যোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।’</br> আরপিও সংশোধনে উদ্যোগের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘প্রস্তাবে যেসব বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে, তার অন্যতম হলো কমিশনের পক্ষ থেকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক ভোট গ্রহণ বন্ধ করা; সর্বোপরি আইনের গুরুতর লঙ্ঘনের জন্য প্রার্থিতা বাতিলের (৯১ ই ধারা) ক্ষমতা রোধ। এসব ক্ষমতা রোধ করলে কমিশন একটি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হবে, যার মাধ্যমে কার স্বার্থ সিদ্ধি হবে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।’</br> মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সর্বশেষ দৃষ্টান্ত হলো, ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষমতা জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রকল্প কমিশন সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাব। এটা হলে ভোটার তালিকা তৈরির ক্ষমতা সরকারের কাছে চলে যাবে। ফলে সরকার নিজের ইচ্ছেমতো ভোটার তালিকা প্রণয়নের সুযোগ পাবে। সেই তালিকায় প্রকৃত ভোটার নন, সরকারি দলের পছন্দের লোকজনকে স্থান করে দেওয়া হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এটা জাতির জন্য একটি অশনিসংকেত ছাড়া কিছুই নয়।</br> রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের আগেই দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জেলায় অফিস বা কমিটি করার যে কথা বলা হয়েছে, তা মোটেই বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় যেটা সমস্যা, তা হচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার যিনি আছেন, তাঁর কোনো মেরুদণ্ডই নেই।</br> বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইন হচ্ছে একটি রক্ষাকবচ। আইন পরিবর্তনের কাজে কমিশন হাত দিতে পারে না। সরকার চাইলে নির্বাচন কমিশন সরকারকে আইন করার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে পারে। কিন্তু স্বপ্রণোদিত হয়ে কমিশন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ সংবিধানের ১১৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আইন পরিবর্তনের করার মাধ্যমে ক্ষমতা খর্ব করা অনেকটা আত্মহত্যার শামিল।</br> এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি না, জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আইনের দ্বারস্থ তখনই হওয়া যাবে, যখন আইন থাকবে দেশে, যখন বিচার পাওয়া যাবে দেশে। আমি কী বিচার পাচ্ছি বিচারালয়গুলোতে। আমার জুডিশিয়ারি কি আমাকে সেই বিচার দিচ্ছে?’</br> তাহলে নির্বাচনে যাচ্ছেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, গণতান্ত্রিক পথেই সরকার পরিবর্তনে আমরা বিশ্বাসী। এটার কারণে আমরা সব নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা আমাদের আন্দোলনের অংশ, পার্ট অব দ্য মুভমেন্ট। আমাদের আন্দোলনটা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই।’ </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[এবিসি: নিউজ সন্ধ্যা ৬ টা]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-2-DH0761-807744128]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 17:54:18 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T17:54:18.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Md. Sanaullah</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>এবিসি, নিউজ সন্ধ্যা ৬ টা</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>এবিসি: নিউজ সন্ধ্যা ৬ টা</br> ময়মনসিংহের কেওয়াটখালি গ্রিড উপকেন্দ্রে আবার আগুন লেগেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আগুন লাগে। এতে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে এখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে তিন দিনে দুবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল।</br> প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্য সম্পর্কে ‘অশালীন ও আপত্তিকর’ মন্তব্য করার দায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।</br> নারায়ণগঞ্জের তল্লায় মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম আবদুস সাত্তার। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৯-এ। দগ্ধ আরও সাতজনের শ্বাসনালি পুড়ে যাওয়ায় এখনো কেউ শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।</br> ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বিএসএফের গুলিতে শরিফুল ইসলাম নামে বাংলাদেশি এক জেলে নিহত হয়েছেন। আজ দুপুরে উপজেলার বেউরঝারী সীমান্ত এলাকার নাগর নদে এ ঘটনা ঘটে।</br> দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস শনাক্তের নমুনা পরীক্ষা ও শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ হারে করোনা শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এ সময় আগের দিনের মতোই গত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৮৯২ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৪১ জন। সব মিলে দেশে ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৭০ জনের করোনা শনাক্ত হলো। মোট মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ ২ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫০ জন।</br> প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার পানির মতো টাকা খরচ করেছে। করোনার ভ্যাকসিনের জন্যও টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব দেশে আবেদন করে রাখা হয়েছে। যেখানেই আগে পাওয়া যাবে, তা দেশের মানুষের জন্য আনা হবে। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।</br> ‘মাসুদ রানা’ ও ‘কুয়াশা’ সিরিজের কিছু বইয়ের বিষয়ে কপিরাইট অফিসের দেওয়া আদেশ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। &nbsp;এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার রুলসহ এ আদেশ দেন।</br> অক্সফোর্ডের করোনার টিকা পরীক্ষা সাময়িক বন্ধ। টিকায় এক স্বেচ্ছাসেবী অসুস্থ হয়ে পড়ায় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকাকে চূড়ান্ত ধাপে থাকা পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়েছে। এ নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মুখপাত্র &nbsp;বলেন, এটি টিকা সম্পর্কিত কোনো সমস্যার কারণে হতে পারে, আবার তা না–ও হতে পারে।</br> চীনে গত ডিসেম্বরের শেষের দিকে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মহামারিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।</br> খেলা:</br> আজ রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে সিপিএল–ফাইনাল। ত্রিনবাগো ও &nbsp;সেন্ট লুসিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে।</br> টেনিসে আজ হবে মায়েদের ফাইনালে ওঠার লড়াই। রাত ১টা অনুষ্ঠিত হবে এই ম্যাচ। এতে লড়াই করবেন সেরেনা উইলিয়ামস ও ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[হিসাব রাখতে গরু-মহিষ-ছাগলের কানে ট্যাগ]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-2-DH0878-807499224]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 17:53:17 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T17:53:17.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Amor Saha</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>কলকাতা-২, তত</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>হিসাব রাখতে গরু-মহিষ-ছাগলের কানে ট্যাগ</br> ওকে: বাছেদ</br> অমর সাহা, কলকাতা</br> ওকে/পার্থ</br> বিভাগ: আন্তর্জাতিক: ভারত</br> ছবি: COWS-10-9.jpg নামে ইন্টার‌ন্যাশনালে আছে</br> ক্যাপশন: পশ্চিমবঙ্গের একটি খামারে রাখা গরুর পাল। ছবি: ভাস্কর মুখার্জি</br> মেটা: গরু-মহিষ-ছাগল-শুয়োর-ভেড়ার হিসাব রাখতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সব গবাদিপশুকে কানে ট্যাগ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।</br> হিসাব রাখতে গরু-মহিষ-ছাগলের কানে ট্যাগ</br> অমর সাহা, কলকাতা</br> গরু-মহিষ-ছাগল-শুয়োর-ভেড়ার হিসাব রাখতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সব গবাদিপশুকে কানে ট্যাগ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।</br> সরকারি ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে এ কর্মসূচির কাজ শুরু হবে। বলা হয়েছে, ইউনিক নাম্বারের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত থাকবে ওই গবাদিপশুর সব তথ্য। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, এ মাস থেকে করোনার জন্য বন্ধ থাকা রাজ্যের সব পশুচিকিৎসাকেন্দ্র খোলা হচ্ছে। এর ফলে রাজ্যের গরু-মহিষ-ছাগল-ভেড়া-শুয়োরসহ হাঁস-মুরগির ফের চিকিৎসার সুযোগ হবে।</br> পশ্চিমবঙ্গের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর রাজ্যের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, এ কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যে গবাদিপশুর খুরা ও ব্রুসেলিওসিস রোগ নিরাময়ের জন্য গবাদিপশুদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বর্তমানে এ রাজ্যে দুই কোটি গবাদিপশু রয়েছে। এ লক্ষ্যে রাজ্য সরকার অর্থও বরাদ্দ করেছে। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[নাশকতার মামলায় চট্টগ্রাম বিএনপির আরও ৩০ কর্মী কারাগারে]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-2-DH0394-807756177]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 17:52:01 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T17:52:01.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Gazi Md. Firoz Khan</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>বিএনপি, কারাগার,</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>নাশকতার মামলায় চট্টগ্রাম বিএনপির আরও ৩০ কর্মী কারাগারে</br> ওকে/সিদ্দিক</br> গাজী ফিরোজ</br> ওকে/পার্থ</br> ছবি: নিম্ন আদালতের প্রতীকী</br> ট্যাগ: আদালত/আইন ও বিচার/ আঞ্চলিক/চট্টগ্রাম</br> মেটা: নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির আরও ৩০ কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।</br> নাশকতার মামলায় চট্টগ্রাম বিএনপির আরও ৩০ কর্মী কারাগারে</br> নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম</br> নাশকতার অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির আরও ৩০ কর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।</br> এর আগে গত সোম ও মঙ্গলবার ২০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন একই আদালত।</br> আজ যাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন মো. শাহাদাত, মো. রাশেদ, আবদুর রশিদ, মো. হারুন, মো. মামুন, মো. হিরু, মো. আজগর, মো. রুবেল, লুৎফুর রহমান, মহিউদ্দিন, সেলিম, রফিক, শিহাব, দিলশাদ, আবছার, মহসিন, ইসমাইল, বাহাদুরসহ ৩০। তাঁরা সবাই নগরের বায়েজিদ বোস্তামী ও চান্দগাঁও থানায় করা নাশকতার মামলার আসামি। সবাই বিএনপি ও যুবদলের কর্মী।</br> ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার ৩২ থানায় নাশকতার অভিযোগে মামলা হয়েছে ২৩২টি। এর মধ্যে শুধু অক্টোবরেই হয় ১০৩টি মামলা। এসব মামলায় বিএনপি-জামায়াত ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করেছে পুলিশ।</br> আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের আগে নগরের চান্দগাঁও ও বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হওয়া নাশকতার ১৩ মামলার ৫৪ আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ ও নাশকতার অভিযোগে বিস্ফোরক এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাঁরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আজ দুপুর থেকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় ভিড় করতে থাকেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। শুনানি শুরু হওয়ার আগে ৫৪ আসামি এজলাসে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ান। আসামিদের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়।</br> চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ৫৪ আসামির মধ্যে আদালত ৩০ জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। অসুস্থ ও বয়স্ক হওয়ায় বাকিদের জামিন মঞ্জুর করেন। হাজির না থাকায় মামলার ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। জামিন পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আইয়ুব খান, আবদুল মান্নান, সাবের আহমেদ, বেল্লাল হোসাইন, আবদুল কাদের, মেহরাজ উদ্দিন, মফজল কোম্পানি, শাহজাহান, জসিমসহ ১৮ জন। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[বগুড়ায় করোনায় আরও ৩ মৃত্যু]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-1-DH0611-807762]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 18:17:23 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T18:17:23.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Anwar Parvez-Bagura</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>বগুড়ায় করোনায়, নতুন করে তিনজনের মৃত্যু</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>বগুড়ায় করোনায় আরও ৩ মৃত্যু</br> বগুড়ায় করোনায় আরও ৩ মৃত্যু</br> নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া</br> বগুড়ায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে নতুন করে আরও একজন ব্যবসায়ী মারা গেছেন। তাঁর নাম মোরশেদুল ইসলাম (৬২)। বগুড়ার বেসরকারি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় &nbsp;গতকাল বুধবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান।</br> করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে গতকাল বিকেল পাঁচটা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত নতুন করে তিনজন মারা গেছেন। এ নিয়ে জেলায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ১৬৮ জনের মৃত্যু হলো। আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫৯ জন।</br> টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের মুখপাত্র ও সহকারী নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহিম (এইও) প্রথম আলোকে জানান, করোনাভাইরাসের উপসর্গ জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়ে ওই রোগী ২৩ আগস্ট টিএমএসএস মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। প্রতিবেদনে তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হন। ২৪ আগস্ট তিনি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতুল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালের আইসোলেশনে ইউনিটে ভর্তি হন। এর আগে রাত ১১টার দিকে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জয়পুরহাট শহরের পুরাতন বাজার সোনারপট্টি এলাকার চাকরিজীবী হিমাংশু কুমার (৫৮)। তিনি ২৮ আগস্ট ভর্তি হয়েছিলেন।</br> অন্যদিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে মারা গেছেন আলম হোসেন (৭০)। তিনি বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।</br> শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মুখপাত্র জাহাঙ্গীর আলম প্রথম আলোকে বলেন, আলম হোসেন ২২ আগস্ট &nbsp;জ্বর-শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি হন। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে আসা প্রতিবেদনে তিনি কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হন। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-1-DH0550-807745]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 18:17:06 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T18:17:06.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Kollayan Banarjee-Shatkhira</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>সাতক্ষীরা, বাল্যবিবাহ</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী</br> বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল কিশোরী</br> নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা</br> সপ্তম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রী বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নে বন্ধ করা হয় এ বাল্যবিবাহ।</br> সাতক্ষীরা জেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক প্রধান সাকিবুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি ও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের সাতক্ষীরা জেলা অফিসের কর্মচারী লুৎফুন্নাহার ও কবরি ওই কিশোরীর বাড়িতে যান। তাঁরা বিয়ের তোড়জোড় দেখে স্থানীয় ইউপি সদস্য নূর ইসলামকে জানালে তিনিও ওই কিশোরীর বাড়িতে আসেন। তাঁরা দেখতে পান মেয়ের জন্মসনদ অনুযায়ী বয়স ১৩ বছর। এদিকে কনের জন্মসনদ দেখাদেখির একপর্যায়ে বর গা ঢাকা দেন। পরে কনের বাবা ও মাকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করলে তাঁরা মুচলেকা দিয়ে অঙ্গীকার করেন তাঁদের মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[দাদির সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-1-DH0801-807771]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 18:14:51 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T18:14:51.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Rajiur Rahman-Panchagarh</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>পঞ্চগড়, করতোয়া নদীম শিশুর মৃত্যু</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>দাদির সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে ডুবে শিশুর মৃত্যু</br> অনলাইনের জন্য:</br> ওকে: জাহাঙ্গীর</br> এক্সসার্পট: পঞ্চগড় সদর উপজেলায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ময়না আক্তার তার দাদির সঙ্গে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যায়। এ সময় হঠাৎ করেই ময়না নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।</br> দাদির সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে নদী ডুবে শিশুর মৃত্যু</br> প্রতিনিধি, পঞ্চগড়</br> পঞ্চগড়ে দাদির সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়ে করতোয়া নদীতে ডুবে ময়না আক্তার (৯) নামের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার সালটিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।</br> ময়না আক্তার ওই এলাকার ময়নুল ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় সালটিয়াপাড়া নুরানী মাদ্রাসার নুরানী শাখার ছাত্রী।</br> পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে শিশু ময়না আক্তার তার দাদির সঙ্গে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে জাল দিয়ে মাছ ধরতে যায়। এ সময় হঠাৎ করেই ময়না নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরে তার দাদির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে নদীতে নেমে শিশুটিকে খুঁজতে শুরু করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন স্থানীয় ব্যক্তিরা।</br> ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাসহ স্থানীয় লোকজন নদীতে নেমে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে নদীর পানিতে ময়নার লাশ খুঁজে পান স্থানীয় ব্যক্তিরা। পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নিরঞ্জন সরকার নদীতে ডুবে ওই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[নিখোঁজের পর ডোবায় মিলল এক মাস বয়সী শিশুর লাশ]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-1-DH0516-807754]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 18:11:50 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T18:11:50.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>F A M Mahbubur Rahman-Noakhali</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>চট্টগ্রাম বিভাগ, নোয়াখালী জেলা, নোয়াখালী সদর উপজেলা, লাশ উদ্ধার</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>নিখোঁজের পর ডোবায় মিলল এক মাস বয়সী শিশুর লাশ</br> ট্যাগ: চট্টগ্রাম বিভাগ, নোয়াখালী জেলা, নোয়াখালী সদর উপজেলা, লাশ উদ্ধার</br> ছবি: নোয়াখালী জেলার ম্যাপ///</br> মেটা: নোয়াখালী সদরের একটি ডোবা থেকে এক মাস চার দিন বয়সী এক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে সুধারাম থানার পুলিশ। শিশুটির নাম জান্নাতুল ফেরদাউস। গতকাল রাতে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শিশুটিকে আর খুঁজে পাননি তার মা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর শুল্লুকিয়া গ্রামের জহুরুল হকের বাড়ির পাশের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।</br> এক্সসার্প্ট: গতকাল বুধবার রাতে শিশুটির মা আকলিমা বেগম মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখেন, পাশে মেয়ে নেই। তাঁর চিৎকারে শ্বশুর-শাশুড়ি ছুটে এসে এদিক-সেদিক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ১০০ গজ দূরের ডোবার কিনারে শিশুটির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।</br> নিখোঁজের পর ডোবায় মিলল এক মাস বয়সী শিশুর লাশ</br> নিজস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী</br> নোয়াখালী সদরের একটি ডোবা থেকে এক মাস চার দিন বয়সী এক মেয়ে শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে সুধারাম থানার পুলিশ। শিশুটির নাম জান্নাতুল ফেরদাউস। গতকাল রাতে সঙ্গে নিয়ে ঘুমিয়ে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শিশুটিকে আর খুঁজে পাননি তার মা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চর শুল্লুকিয়া গ্রামের জহুরুল হকের বাড়ির পাশের ডোবা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।</br> কীভাবে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে বা কারা তাকে ডোবায় ফেলে রেখে এসেছে, তা বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। শিশুটির চর শুল্লুকিয়া গ্রামের আবদুর রহমান ও আকলিমা বেগম দম্পতির সন্তান। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।</br> পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, নিহত শিশুটির বাবা আবদুর রহমান ঢাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। চার দিন আগে তিনি বাড়ি থেকে ঢাকা গেছেন। গতকাল বুধবার রাতে শিশুটির মা আকলিমা বেগম মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখেন, পাশে মেয়ে নেই। তাঁর চিৎকারে শ্বশুর-শাশুড়ি ছুটে এসে এদিক-সেদিক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বসতঘর থেকে পূর্ব দিকে আনুমানিক ১০০ গজ দূরের ডোবার কিনারে শিশুটির লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তাঁরা লাশটি উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।</br> পুলিশকে শিশুটির মা ও পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, জন্মের পর থেকে শিশুটি খিঁচুনি রোগে ভুগছে। তা ছাড়া শিশুটির মা আকলিমাও অসুস্থ। দেড় বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়েছে। তাঁর বয়স আনুমানিক ২০ বছর। এটিই তাঁর প্রথম সন্তান।</br> ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর নবী জানান, শিশুটি যেহেতু হাঁটতে পারে না, তাই কেউ না কেউ তাকে সেখানে ফেলে এসেছে, এটা মোটামুটি নিশ্চিত। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকালে শিশুটির দুই কানে সামান্য ক্ষতের দাগ ছাড়া অন্য কোনো আলামত চোখে পড়েনি।</br> এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, শিশুটিকে কে বা কারা ডোবায় ফেলেছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। সেটি বের করার চেষ্টা চলছে। তা ছাড়া ময়নাতদন্ত হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় আপাতত একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। শিশুর বাবা ঢাকা থেকে এলে তিনি মামলা করতে চাইলে করতে পারবেন। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[নেত্রকোনায় ট্রলারডুবি: মামলায় গ্রেপ্তার ৫, তদন্ত কমিটি গঠন]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-1-DH0548-807742]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 18:07:22 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T18:07:22.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Tapati Barman</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>নেত্রকোনায় ট্রলার ডুবির ঘটনায় মামলা, আটক পাঁচ</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>নেত্রকোনায় ট্রলারডুবি: মামলায় গ্রেপ্তার ৫, তদন্ত কমিটি গঠন</br> প্রতিনিধি, নেত্রকোনা</br> নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রাজনগর গ্রামের গুমাই নদে যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আবদুল ওয়াহাব (৪০) নামে ট্রলারের যাত্রী বাদী হয়ে কলমাকান্দা থানায় মামলাটি করেন। এতে যাত্রীবাহী ট্রলারের চালক সোহাগ মিয়াসহ (৩৫) ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। পরে তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।</br> এদিকে ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার রাতে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়। &nbsp;</br> গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন বাল্কহেডের (পণ্যবাহী বড় নৌকা) মালিক সেলিম মিয়ার ছেলে বাপন মিয়া (৩২), বাল্কহেডের চালক আবাল মিয়া (৩৫) ও সোহাগ রহমান (৩০), চালকের সহযোগী জাফর মিয়া (২৮) ও বাবুর্চি বাদল মিয়া (৩০)। তাঁদের সবার বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলায়। আর দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটির চালক সোহাগ মিয়ার বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দার চেমটি গ্রামে। &nbsp;</br> মামলার বাদী আবদুল ওয়াহাব সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার ইনাতনগর গ্রামের বাসিন্দা। ট্রলারডুবির ঘটনায় তিনি বেঁচে গেলেও তাঁর স্ত্রী লুৎফুন্নাহার (৩২) ও ছেলে ইয়াসিনের (২) মৃত্যু হয়। আর মেয়ে মনিরা আক্তার (৫) নিখোঁজ আছে। নিখোঁজদের উদ্ধারের বিষয়ে নেত্রকোনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী বলেন, ‘ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জের ডুবুরি দল এসে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনো নিখোঁজ আটজনের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।’</br> কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম প্রথম আলোকে বিকেল পাঁচটার দিকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আবদুল ওয়াহাব বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আমরা ইতিমধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছি। আটক ব্যক্তিদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হবে। আর ট্রলারের চালক সোহাগ মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’</br> নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন, কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজহারুল করিম ও কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম। কমিটির প্রধান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটির কাজ শুরু হয়ে গেছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’</br> সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলার মধ্যনগর এলাকা থেকে বুধবার সকালে ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার নেত্রকোনার ঠাকুরাকোনার উদ্দেশে রওনা হয়। সকাল পৌনে ১০টার দিকে নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রাজনগর গ্রাম লাগোয়া গুমাই নদে যাত্রীবাহী ট্রলারের সঙ্গে বালুবাহী ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এতে শিশুসহ ১০ জনের প্রাণহানি হয়। এখনো নিখোঁজ আছেন আটজন। মৃত ১০ জনের মধ্যে নয়জনের বাড়ি সুনামগঞ্জের ধরমপাশা উপজেলায়। অপরজনের বাড়ি নেত্রকোনার সদর উপজেলার মেদনী গ্রামে। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদ নিহতদের স্বজনদের ২০ হাজার করে টাকা ও শুকনো খাবার দেন। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান নিহতদের পরিবারপ্রতি ১০ হাজার টাকা দেন। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[অপরাধী শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-1-DH0544-807692]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 18:06:52 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T18:06:52.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>M Rashedul Haque-Goalanda</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>ঢাকা বিভাগ, রাজবাড়ী জেলা, গোয়ালন্দ উপজেলা, হত্যা, মানববন্ধন</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>অপরাধী শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের</br> ওকে: এস এম মোস্তাফিজুর রহমান</br> ট্যাগ: ঢাকা বিভাগ, রাজবাড়ী জেলা, গোয়ালন্দ উপজেলা, হত্যা, মানববন্ধন</br> ছবি: মানববন্ধনের হিরো ইমেজ////মিরাজের পোর্ট্রেট///</br> মেটা: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মার দুর্গম চরে দুই হাত বিচ্ছিন্ন করে নবম শ্রেণির ছাত্র সুমন খান ওরফে মিরাজ খাঁকে (১৬) হত্যার ঘটনায় খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছে তার সহপাঠী ও শিক্ষকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মিরাজের বিদ্যালয় দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।</br> এক্সসার্প্ট: গত ৩১ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়ালজানি এলাকার পদ্মার চরে নবম শ্রেণির ছাত্র মিরাজের পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার হয়। এ সময় লাশের বাম হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন এবং ডান হাত কাঁধ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। এ ছাড়া লাশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের তিন–চারটি আঘাতের চিহ্ন ছিল।</br> আরও পড়ুন: ‘আমার মিরাজ কো, মিরাজরে আইনা দে’//</br> শোল্ডার: গোয়ালন্দে স্কুলছাত্র মিরাজ হত্যা</br> হেডিং: অপরাধী শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের</br> প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী</br> রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মার দুর্গম চরে দুই হাত বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে নবম শ্রেণির ছাত্র সুমন খান ওরফে মিরাজ খাঁকে (১৬) হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানিয়েছে তার সহপাঠী ও শিক্ষকেরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মিরাজের বিদ্যালয় দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের সামনে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে এক মানববন্ধনে এই দাবি জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।</br> মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষার্থী, সহপাঠী, শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম খান, নিহত মিরাজের বড় ভাই সেলিম খান, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শামীম শেখ, সুরাইয়া আক্তার, সহপাঠী কাওছার আহম্মেদ, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী কানিজ সুবর্ণা প্রমুখ বক্তব্য দেয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সবাই দ্রুত মিরাজের খুনিদের গ্রেপ্তার করে ফাঁসির দাবি জানান।</br> ৩১ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাওয়ালজানি এলাকার পদ্মার চরে মিরাজের পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার হয়। এ সময় নদীর পাড় দিয়ে এলাকার কয়েকজন যাওয়ার সময় কাদাপানিতে অর্ধেক পুঁতে রাখা লাশ দেখতে পান। বিষয়টি তাৎক্ষণিক দেবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলামকে অবগত করলে তিনি গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশকে জানান। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ কাদামাটি থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।</br> এ সময় লাশের বাঁ হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন এবং ডান হাত কাঁধ থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। এ ছাড়া লাশের শরীরে ধারালো অস্ত্রের তিন–চারটি আঘাতের চিহ্ন ছিল। বিচ্ছিন্ন কবজি পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। পরে পরনের প্যান্ট, কপালের কাটা দাগ দেখে পরিবারের লোকজন নিখোঁজ স্কুলছাত্র মিরাজের লাশ শনাক্ত করেন।</br> মিরাজ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের উত্তর চর পাচুরিয়া গ্রামের সিরাজ খাঁর ছেলে। সে দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুলের নবম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্র ছিল। এ ঘটনার পর পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। বিচ্ছিন্ন বাঁ হাতের কবজিও উদ্ধার হয়নি। লাশ উদ্ধারের তিন দিন আগে ২৭ আগস্ট সন্ধ্যায় বাড়িতে বসে খাওয়ার সময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ফোন পেয়ে মিরাজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল।</br> এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-তায়াবীর প্রথম আলোকে বলেন, ‘অপরাধীদের ধরতে পুলিশ সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করি, খুব দ্রুতই অপরাধী শনাক্ত হওয়ার পাশাপাশি তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’ </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[করোনায় বাবা হারালেন কোনাল]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-1-DH0466-807760823]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 18:01:13 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T18:01:13.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Rashel Mahmud</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>কোনাল,বাবা</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>করোনায় বাবা হারালেন কোনাল</br> বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা</br> করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সংগীতশিল্পী কোনালের বাবা মনির হোসেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটায় রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি মারা যান। করোনা ছাড়াও তিনি উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। আজ মাগরিব নামাজের পর জানাজা শেষে তাঁকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।</br> মনির হোসেন কুয়েতের মিনিস্ট্রি অব ইনটেরিয়রে চাকরি করতেন। সেখানে কুয়েতের বৃহত্তর ঢাকা সমিতির সভাপতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুয়েত শাখার সেক্রেটারি এবং কুয়েতের সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋতুরঙা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। অবসরের পর সপরিবার তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।</br> চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনায় আক্রান্ত হন সোমনুর মনির কোনাল। তিনি সেরে উঠলেও তাঁর মা–বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। তাঁর মাকে প্লাজমা দেওয়া হলে তিনি কিছুটা সুস্থ্য হয়ে ওঠেন। ৮ সেপ্টেম্বর আইসিইউতে নেওয়া হয় মনির হোসেনকে। এমনকি চিকিৎসায় সন্তুষ্ট না হওয়ায় তাঁদের দুজনকে হাসপাতাল বদলে চিকিৎসা দেওয়া শুরু হয়।</br> সোমনুর মনির কোনাল ২০০৯ সালে চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে সংগীতাঙ্গনে প্রবেশ করেন। এরপর ধীরে ধীরে পরিচিতি পেতে শুরু করেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর বেশ কিছু একক মৌলিক গান শ্রোতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে গান করেছেন তিনি। পিতার মৃত্যুশোকে মুহ্যমান কোনালের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। </p>]]></content:encoded>
</item>
<item>
<title><![CDATA[বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের দোকানঘর ভেঙে দিল পৌর কর্তৃপক্ষ]]></title>
<guid isPermaLink="false"><![CDATA[AKS-C-1-1-DH0698-807686]]></guid>
<pubDate>Thu, 10 Sep 2020 17:57:20 +0600</pubDate>
<atom:updated>2020-09-10T17:57:20.000+06:00</atom:updated>
<atom:author>
<atom:name>Mahmudur Rahman-Jhalakati</atom:name>
</atom:author>
<description><![CDATA[]]></description>
<media:keywords>ঝালকাঠি, স্থাপনা ভাঙা, পৌর কর্তৃপক্ষ</media:keywords>
<content:encoded><![CDATA[<p>বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের দোকানঘর ভেঙে দিল পৌর কর্তৃপক্ষ</br> অনলাইনের জন্য:</br> ওকে: জাহাঙ্গীর</br> এক্সসার্পট: ঝালকাঠির সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অবৈধভাবে নির্মাণ করা আটটি দোকানঘর ভেঙে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এদিকে দোকানঘর ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়ে দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি শারমিন মৌসুমি। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।</br> ক্যাপশন ১: সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে নির্মাণ করা দোকানঘর বৃহস্পতিবার ভেঙে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রথম আলো</br> ক্যাপশন ২: বেলা ১১ থেকে স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু করেন শ্রমিকেরা। সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে। প্রথম আলো</br> বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের দোকানঘর ভেঙে দিল পৌর কর্তৃপক্ষ</br> প্রতিনিধি, ঝালকাঠি</br> ঝালকাঠির সুগন্ধা পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে অবৈধভাবে নির্মাণ করা আটটি দোকানঘর ভেঙে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে এই অভিযান শুরু হয়।</br> দোকানঘর ভাঙার প্রতিবাদ জানিয়ে দুপুরে স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদ্য বিদায়ী সভাপতি শারমিন মৌসুমি। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।</br> ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের সামনে বিদ্যালয়টির অবস্থান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ আগস্ট রাত থেকে শহরের গুরুধাম প্রধান সড়কের পাশে অবস্থিত বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এ জন্য বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারটিও ভেঙে ফেলা হয়। বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ নষ্ট করে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শারমিন মৌসুমির বিরুদ্ধে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। চলতি মাসের শুরুতে শারমিন মৌসুমিকে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। পরে বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গাজী সানাউল হক সভা করে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীতা মণ্ডল এই স্থাপনা অপসারণের জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।</br> ঝালকাঠি পৌরসভার মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদারের উপস্থিতিতে আজ বেলা ১১টা থেকে স্থাপনা ভাঙার কাজ শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের নতুন অ্যাডহক কমিটির সভাপতি গাজী সানাউল হক, প্রধান শিক্ষক রীতা মণ্ডলসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। মেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, পৌরসভায় যে কাগজপত্র দিয়ে নকশা নেওয়া হয়েছিল, তা সঠিক ছিল না। তাই নকশা বাতিল করা হয়েছে। অবৈধভাবে গড়ে তোলা দোকান ভেঙে ফেলা হচ্ছে।</br> বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীতা মণ্ডল অভিযোগ করেন, বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি থাকাকালে শারমিন মৌসুমি জোর করে রেজল্যুশন করেন। সে অনুযায়ী খেলার মাঠে অবৈধভাবে স্টল নির্মাণ শুরু করেন।</br> দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে শারমিন মৌসুমি বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এখন ষড়যন্ত্র করে তা ভেঙে ফেলা হচ্ছে। </p>]]></content:encoded>
</item>
</channel>
</rss>
Sign up for free to join this conversation on GitHub. Already have an account? Sign in to comment